Posts

পানীয় বিরল - সুবোধ কুমার শীট

Image
অবসান হইতেছে অমৃত তরল চারিদিকে হাহাকার পানীয় বিরল!  বারংবার অপচয় নিস্তেজ চেতনা প্রাণবন্ত রসদের নির্মম বেদনা!  হেঁসেলের, বাথরুমে, কৃষিতে, রাস্তায় অবহেলা মানবতা আগামী সস্তায়!  আকাশের ঝরঝরা অকাল দিঘির পুষ্করিণী অনুর্বর প্রাসাদ নিবিড়। জাগরণে অসফল মানব জাতির তামসিক হাবুডুবু প্রজন্ম গতির। নিদ্রোত্থিত! নিদ্রোত্থিত! কামনা জাগায়ে অপচয়ে প্রতিজ্ঞায় পানীয় বাঁচায়ে। অবহেলা অযথায় সজাগ স্মরণ জাগরূক শঙ্খনাদে করবো বরণ। রচনাকাল - নিজ বাসভবন  ২০/০৭/২০২০ দুপুর - ০১:১৫

ভয় নয় প্রিয়ে - সুবোধ কুমার শীট

Image
মাঝে মাঝে তাকে দেখা              সেই নিয়ে কাব্য লেখা।  খুব প্রেম তাকে করি              মোর তুমি সহ-চরী।  বহু কথা আছে জমা              বলি তবে প্রিয়-তমা।  যত আমি দেখি শুধু              শান্তি হেন অশ্রু মধু।  ম্লান মনে তৃপ্তি জাগে!               বাধা সব শূন্য লাগে।  করি প্রেম অন্তঃ দিয়ে              তুমি রবে মোর প্রিয়ে।  রুদ্ধ শ্বাস কোলাহল!               ভয় হোক মনোবল।  সুখ এলে তুমি নিয়ো              দুঃখ হলে মোরে দিয়ো।  দৃঢ় হচ্ছে সৃষ্টি পথ              আছে সদা এক মত।  হোক রাস্তা টলোমলো              হাত ধরে হর্ষে চলো।  এক সাথে পার হবো              মোহ ছেড়ে আগে যাবো।  যদি প্রেম করো মোরে              সদা থাকো হাত ধরে।  স্বামী শুধু ভেবো নাকো              বন্ধু হয়ে সদা থাকো। রচনাকাল -  নিজ বাসভবন  ১৮/০৭/২০২০ সন্ধ্যা - ০৬:৪৭

নিজেকে জানো - সুবোধ কুমার শীট

Image
অপরের সাথে সর্বদা লড়েছি নিজেকে না জেনে ভুল যে করেছি। প্রেম, বন্ধু সব আজ হারিয়েছি এ অজানা পথে একা দাঁড়িয়েছি। দিশে হারা পথে কেউ নেই আর! নিজেকেই নিজে হতে হবে পার।  সদাই নিজেকে জানতে যে হবে অন্তরের শক্তি সদা সঙ্গে রবে। বুঝিনি সদাই আছো তুমি কাছে পেয়েছি তোমায় রেখে সব পাছে। নিজের হৃদয়ে ডুব যে দিয়েছি তাই আজ শুধু নিজেকে পেয়েছি। সব ত্যাগ করে মনে শক্তি আনো ভালো করে আরো নিজেকেই জানো। রচনাকাল -  নিজ বাসভবন ১৬/০৭/২০২০  দুপুর-১২:২৩

প্রকাশ হোক প্রেম - সুবোধ কুমার শীট

Image
এই পচা, দ্বার খুলে দে, আজ বড্ড যে গরম ‘যাই বাবু, হ্যাঁ ঠিকই তো, আজ রোদ যে চরম। বাবু বাবু, কি লিখছেন? কাউকে নিয়ে কবিতা’?  হ্যাঁ বাবা হ্যাঁ, সেই যে তোর প্রাণপ্রিয়া সুনন্দিতা। ‘আচ্ছা বাবু, প্রাণপ্রিয়া কে, কেন করেননি বিয়ে’?  শুন তবে, কি হয়েছিল? গল্প বলি ওকে নিয়ে। জানি না যে, আমার মতো সে ভালো বেসেছে কিনা ছোটো থেকে পছন্দ করি, কিন্তু বলতে পারি না! ভেবে থাকি, সব বলবো, আসবে সঠিক ক্ষন   ভাবিনি যে অজান্তে আমি, নিয়েছি না বলার পণ। সদা দেখি, দূর থেকেই, আজও যে দেখি তাই একা আছি! তোর হৃদয়ে, আজও সে পাশে নাই। আছে শুধু, স্মরণ স্মৃতি অনুভবে সুপ্ত আলো;  এই পচা! কি ভাবছিস? কাউকে বাসিস ভালো? মাথা নিচু! কিছু তো বল? আমি যে বন্ধুর মতো না বললে, বুঝবো টা কি? তোর যে কোথায় ক্ষত? সঙ্গে আছি, আমায় বল, ‘হ্যাঁ বাবু হ্যাঁ, ভালোবাসি’  আরে পচা, কেন অপেক্ষা বল নামটি কি? ‘হাসি’। বাঃ সুন্দর! কালকে যাবো, আজ রাতে পাঠা মাংস  আজ তোকে, দিলাম আমি সাহসের আধা অংশ। দেখ পচা, আমরা এক, তোরে যে দেখে সবাই আমি সুপ্ত, তোর দ্বারাই- দেখি, চিনি, বুঝি তাই। প্লিজ বল! তোর হাসিকে, মানে যে সুনন্দিতাকে

হুঁশিয়ার - সুবোধ কুমার শীট

Image
তোরা খুবই হিংস চতুর  তোরা কূটনীতি বুদ্ধিধারী!  দুর্বল স্থানে আঘাত হানে রাখিস আগে নজরদারি। সামনেতে তোরা যে বলিস আমরা সবাই ভাই ভাই,  পেছন ফিরলে চাকু দিস!  কোন সম্পর্ক আর যে নাই।  মুখে আনিস শান্তির বাণী সাধু হয়ে বিশ্ব দুয়ারে,  কাজে নিজ স্বার্থ চরিতার্থ  সদা দুর্বল ভাবিস নারে।  সর্বনাশা! ভুলে গেলি তোরা বীরত্ব উইং কমান্ডারকে!  কীভাবে তাণ্ডব করে ফিরে  সে এলো শত্রুর ঘাঁটি থেকে!  এ উনিশশো বাষট্টি নয়  এখন দুই হাজার কুড়ি,  শান্তিপ্রিয় মানুষ হয়েও  ছাড়বো না এক কণা নুড়ি।  বলিস তোরা কি সাম্যবাদী!  কর্মে তোরা আসল পাজি,  এক পা যদি রাখিস তোরা!  জবাব দিতে আমরা রাজি!  হুঁশিয়ার! আমরা প্রস্তুত,  এবার যদি স্পর্ধা দেখাস!  তোদের রক্তে লিখবো মোরা বিশ্বে স্মরণীয় ইতিহাস! রচনাকাল -  নিজ বাসভবন  ০৫/০৭/২০২০,  দুপুর - ০১:৪০

একা লাগেনা ভালো - সুবোধ কুমার শীট

Image
তুমি যে কোথায়?        একা যে লাগেনা ভালো শুধু নেই তুমি!           যেন মন অন্ধে কালো রয়েছে প্রদীপ,         নেই জ্বালানোর আলো তাড়াতাড়ি এসে,            প্রদীপে অমৃত ঢালো তুমি যে কোথায়?        একা যে লাগেনা ভালো। রচনাকাল- নিজ বাসভবন ১২/০৭/২০২০ দুপুর - ০১:২৪

সুনন্দিতা - সুবোধ কুমার শীট

Image
আমি যে জানি না এটি মোহ না প্রেম আমার হৃদয়ে তুমি উজলা হেম। তোমার অন্তরে দেখি আমার ছবি আমার হৃদয়ে তুমি ভাবনা কবি। তোমাকে দেখলে শুধু আমাকে পাই হৃদয়ে হৃদয় ওগো পায় যে ঠাঁই। তুমি যে আছ তিল একটু দূরে যেন ওষ্ঠ থেকে সদা বাঁশির সুরে। কি জানি মধুর এক অনন্য টান তুমি প্রেম্ সুর আর আমি যে গান। যখন শহরেতে ছিলাম আমি অধ্যায়নে হ্যাঁ, দেখেছি অনেক ললনা রূপসী নয়নে।  একটা মুহূর্তে জন্য ওরা পারেনি লোভাতে পারেনি রূপের উষ্ণতায় হৃদয় গলাতে।  শৈশবে সেই দেখা হৃদয় মনে ব্যাকুলতা ধীরে ধীরে বড়ো হয়ে ওঠা হৃদয়ে নন্দিতা।  জানি না কিভাবে জন্ম এই অনুভূতি টান যেন হৃদয়ের ব্যাকুলতা করে খান খান।  কেন জানি প্রেমের মায়ার স্রোতে ভেসে যাই বন্ধুকে নিয়ে বিকেলে আর বাড়িতে যে নাই।  মাঝি হীন তরী মন বলে তোমাকে যে চাই দূর হতে নয় দূরে তারে দেখতে যে পাই।  কখনও ছোট্ট বোন সাথে কিংবা বই হাতে  এরূপ দেখে আমার মন যে উল্লাসে মাতে।  হ্যাঁ, যেন ইচ্ছে করে এখুনি ছুটে যাই কাছে  বলে ফেলি প্রেম্ গান সুর ধরে পাখি গাছে!  পারি না, সমাজের বদ্ধতা এখনও আছে পিতার বন্ধুত্ব ও আমার ব